যীশু

ষষ্ঠ শ্রেণি (মাধ্যমিক) - খ্রিস্ট্রধর্ম শিক্ষা - অঞ্জলি ৩ | | NCTB BOOK
11
11

আজকে শিক্ষক বাইবেল বা শিশুতোষ বাইবেল থেকে মথি ১৬:১৩-২০ ও যোহন ১:১,১৪ পদ শ্রেণিকক্ষে তোমাদের পাঠ করে শোনাবেন। শিক্ষক যখন পাঠ করবেন তখন খুব ভালো করে শোনো। কোনো বিষয় অস্পষ্ট থাকলে শিক্ষকের কাছে জেনে নিয়ো।

যীশু ঈশ্বর পুত্র। তিনি মানুষ বেশে এ পৃথিবীতে এসেছেন। তাঁর মানবিক ও ঐশ্বরিক কাজ দেখে তাঁর সময়ের মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে তিনি আসলে কে। যীশুর জীবন ও পবিত্র বাইবেল “যীশু কে” এ প্রশ্নের উত্তর জানতে আমাদের সাহায্য করে। চলো দেখি পবিত্র বাইবেলে এ বিষয়ে কী লেখা আছে।

 

পরে যীশু যখন কৈসরিয়া-ফিলিপি এলাকায় গেলেন তখন শিষ্যদের জিজ্ঞাসা করলেন, “মনুষ্যপুত্র কে, এই বিষয়ে লোকে কি বলে?” তাঁরা বললেন, “কেউ কেউ বলে আপনি বাপ্তিস্মদাতা যোহন, কেউ কেউ বলে এলিয়, আবার কেউ কেউ বলে ফিরমিয় বা নবীদের মধ্যে একজন।" তখন তিনি তাঁদের বললেন, কিন্তু তোমরা কি বল, আমি কে?” শিমোন-পিতর বললেন, “আপনি সেই মশীহ, জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র।" উত্তরে যীশু তাঁকে বললেন, “শিমোন বার-ঘোনা, তুমি ধন্য, কারণ কোন মানুষ তোমার কাছে এটা প্রকাশ করে নি; আমার স্বর্গস্থ পিতাই প্রকাশ করেছেন। আমি তোমাকে বলছি, তুমি পিতর, আর এই পাথরের উপরেই আমি আমার মণ্ডলী পড়ে তুলবো। নরকের কোন শক্তিই তার উপর জয়লাভ করতে পারবে না। আমি তোমাকে স্বর্ণ-রাজ্যের চাবিগুলো দেব, আর তুমি এই পৃথিবীতে যা বাঁধবে তা স্বর্গেও বেঁধে রাখা হবে এবং যা খুলবে তা স্বর্গেও খুলে দেওয়া হবে।" এর পরে তিনি তাঁর শিষ্যদের সাবধান করে দিলেন যেন তাঁরা কাউকে না বলেন যে, তিনিই মশীহ।

তোমাকে একটু সহজ করে বলি

 লোকেরা যীশু সম্পর্কে কী বলেন, যীশু তা শিষ্যদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন। আর শিষ্যরা তা যীশুকে বলেছিলেন। কেউ যীশুকে এলিয়, ফিরমিয়, আবার কেউ বলে যীশু নবীদের মধ্যে একজন ইত্যাদি। তখন যীশু শিষ্যদের কাছে জানতে চাইলেন যে শিখারা যীশু সম্পর্কে কী ভাবে। তখন শিমোন-পিতর গভীর বিশ্বাস নিয়ে বললেন যে যীশু সেই জীবন্ত মশীহ, জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র। যীশু তাদের বললেন যে পিতরের বিশ্বাসের ওপর তিনি মণ্ডলী স্থাপন করবেন। সেই মণ্ডলী জগতের কোনো মন্দ শক্তি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তারপর যীশু তাদের সুখবর প্রচারের ও আরোগ্য করার শক্তি প্রদান করলেন। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে যীশু কে, যীশুর ক্ষমতা ও যীশু যে অন্যদের থেকে আলাদা তা আমরা বুঝতে পারি। আমরা এও বুঝতে পারি যে যীশু মানুষের বেশে ঈশ্বর-পুত্র হয়ে পৃথিবীতে এসেছেন।

প্রথমেই বাক্য ছিলেন, বাক্য ঈশ্বরের সঙ্গে ছিলেন এবং বাকা নিজেই ঈশ্বর ছিলেন।

 

সেই বাক্যই মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করলেন এবং আমাদের মধ্যে বাস করলেন। পিতা ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র হিসাবে তাঁর যে মহিমা সেই মহিমা আমরা দেখেছি। তিনি দয়া ও সত্যে পূর্ণ।

 

তোমাকে একটু সহজ করে বলি

যীশু নিজেই বাক্য ছিলেন। এখানে বাক্য বলতে ঈশ্বরকে বোঝানো হয়েছে, একই সাথে ঈশ্বরের অসী ক্ষমতাকেও বোঝানো হয়েছে। সেই থাকা দ্বারা সবকিছু সৃষ্টি হয়েছিলো। যীশু নিজেই ঈশ্বর। তিনি ঈশ্বরের সঙ্গে স্বর্গে থাকতেন। তিনি মানব বেশে পৃথিবীতে আসলেন। যেন পাপী মানুষ পাপ থেকে মুক্ত হয়।

যীশু খ্রীষ্টের মানুষ হওয়ার মধ্য দিয়ে পৃথিবীর মানুষ ঈশ্বরের মহিমা দেখতে পেয়েছে। যীশু খ্রীষ্ট দয়া ও সত্যে পরিপূর্ণ। তিনি দয়াবান এবং সত্যময় ঈশ্বর। আমরাও যীশুর মতো দয়াবান ও সত্যবাদী হব।।

 

Content added || updated By

Read more

Promotion